প্রচুর রেস্টুরেন্ট, কফি শপ, সুভেনিরের ছোট দোকান থেকে শুরু করে নামী দামী ব্র্যান্ডের শো রুম, প্রচুর টুরিস্টের নিশ্চিন্ত চলাফেরা, সময় কাটানো, স্থানীয় মানুষের ব্যস্ততা – সব নিয়ে এই বিশাল রঙিন স্কোয়ার ঐতিহাসিক নিসের এক অন্যতম টুরিস্ট আকর্ষণ – তাই, এই শহরে এলে কেউই এই স্কোয়ারকে না দেখে ফেরে না।
চারদিকে নিও ক্লাসিক্যাল স্থাপত্যের উপস্থিতি, প্রাচীন অট্টালিকা – সব মিলে নিসের এক অদ্বিতীয় ছবি তৈরি হয়। আর ঐতিহাসিক নিসের কেন্দ্রে আধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে আসে অত্যাধুনিক ট্রাম। এই স্কোয়ারের একদম মাঝ বরাবর চলে গেছে ট্রাম লাইন।
এই কিছুদিন আগে পর্যন্ত ঐতিহাসিক নিসের কেন্দ্রের এই স্কোয়ারকে তৈরি করার কাজ চলছিল। বিশাল এই জায়গা নিসের মানুষের নানান উৎসব অনুষ্ঠান পালনের, জমায়েত হওয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ ঠিকানাও বলা যায়। ফেব্রুয়ারির কার্নিভেলের জন্যে এই স্কোয়ার বহু আগে থেকেই সাজতে শুরু করে দেয় – শুধু কি ফেব্রুয়ারির কার্নিভ্যাল!
ডিসেম্বরের ক্রিসমাসের বাজার থেকে শুরু করে, নতুন বছর, জুলাইয়ের বাস্টিল ডের মিলিটারি প্যারেড, ইত্যাদি সব নিয়ে বছরের প্রায় সব সময়েই নাকি এই স্কোয়ার মানুষের আনাগোনায় ভরপুর থাকে, জমজমাট থাকে। আর এই বিশাল স্কোয়ার সম্পূর্ণ ভাবে পায়ে হাঁটার জন্যেই তৈরি, এই স্কোয়ারে ঐ অত্যাধুনিক ট্রাম ছাড়া অন্য কোন যানবাহনের প্রবেশ নিষেধ।
নিসের এই ঐতিহাসিক স্কোয়ারে এলে দেখা যায় – উঁচু উঁচু খুঁটির উপরে মানুষের স্ট্যাচু – কেউ বসে, কেউ মাথা গুঁজে বসে, আবার কেউ হাঁটু মুড়ে বসে আছে। ঐতিহাসিক স্কোয়ারের মধ্যে এই ধরণের আধুনিক স্ট্যাচু দেখে কৌতূহলী হতেই পারি, একটু অন্যরকম, আগে তো কোথাও দেখিনি – আসলে ঐ অদ্ভুত স্ট্যাচু গুলো নাকি আধুনিক শিল্পের অবদান – স্ট্যাচু গুলো নাকি পৃথিবীর সাতটা মহাদেশকে বোঝায়। রাতে ঐ স্ট্যাচু গুলো নানা রঙের আলোয় সেজে ওঠে – যা দূর থেকেই দেখা যায়, এক অদ্ভুত আলো ছায়াময় পরিবেশ তৈরি হয়।
বিশাল এই স্কোয়ারে নিসের প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এসে মিশেছে, তাই নিসের কেন্দ্রে যেখানেই থাকা হোক না কেন টুরিস্টদের যাওয়া আসার পথে এই স্কোয়ার অন্তত একবার তো আসবেই। দিন কিংবা রাত – যে কোন সময়েই এই স্কোয়ারে এসে বিভিন্ন দেশের মানুষ দেখতে দেখতে, কিংবা সুভেনির বেছে নিতে নিতে বহু টুরিস্টের সময় গড়িয়ে যায় – আর সঙ্গে থাকে এই রঙিন স্কোয়ারের নানান চেনা অচেনা গল্প, কথা, ছবি।