April 2010, Torcello and Lido, Italy
টরসেলো
এখনো ইতালির ভেনেসিয়ান লেগুনের এই নির্জন শান্ত দ্বীপে বাইজেন্টাইন সময়ের চার্চ দেখা যায়। দেখা যায় ছোট্ট Devil’s Bridge। রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পরে এই দ্বীপের বাসিন্দা সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। 10th century তে এই দ্বীপের জনসংখ্যা ছিল প্রায় দশ হাজার, এখন এই দ্বীপের স্থানীয় জনসংখ্যা মাত্র কুড়ি জন!
বার বার বন্যায় ক্ষতি গ্রস্ত হয় এই দ্বীপের ইতিহাস, বাড়ী ঘর, বিল্ডিং। সেই সময়ের বিশাল বাড়ী কিছু এখনো ধ্বংসাবশেষ হয়ে স্মৃতি আঁকড়ে আছে, আবার অনেক বিল্ডিংই নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে।
খালি এই দ্বীপে ষ্টীমার আমাদের ছেড়ে দিল। ষ্টীমার ঘাটে দাঁড়িয়ে মনে হল জল ঘেরা এই দ্বীপে যেন শুধু আমরাই। সবুজ জলের দিগন্তে দেখা যাচ্ছে ভেনিস শহরের রেখা। মাঝ সমুদ্রে ছোট বোটের ব্যস্ত আনাগোনা আর সিগালের কর্কশ ডাক – কেমন যেন আরও একাকী করে দেয়।
ক্যানালের ধারে লাল ইট বাঁধানো রাস্তা ধরে হেঁটে যাই দ্বীপের ভেতরে। এই দ্বীপের একমাত্র চার্চের সামনে পৌঁছে যাই।
এখন জল জঙ্গল ঘেরা এই দ্বীপে অনেক জায়গা নিয়ে কয়েকটি হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বিয়ের হল আছে। নির্জনে যারা ছুটি কাটাতে চায় তাঁদের স্বর্গ এই দ্বীপ। আরনেস্ট হেমিংওয়েও কিছুদিন এই দ্বীপে থেকে নির্জনে লেখার প্রেরণা পেয়েছিলেন।
খুব তাড়াতাড়ি আমরা এই দ্বীপ সম্পূর্ণ ঘুরে নিলাম। হাতে অনেক সময়।
লিডো
এবার আরেক দ্বীপ বাকি – লিডো। আবার ষ্টীমারে চেপে পৌঁছে গেলাম লিডো। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে লিডো দ্বীপেই ভেনিস চলচিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। লিডোতেই ভেনিসের আধুনিক রূপ দেখা যায়। আধুনিক অট্টালিকা, হোটেল, রেস্টুরেন্টে সাজানো এই দ্বীপ। লিডোতেই আছে ভেনিসের অ্যাড্রিয়াটিক সমুদ্র সৈকত। বেশীরভাগ সৈকত এখানে দামী হোটেলের দখলে, তবে কিছু পাবলিক বীচ ও আছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে এখানে গরম এখনো পড়ে নি, তাই সৈকতে খুব একটা ভিড় নেই।
আবার ভেনিসেই ফিরতে হবে আমাদের। ভেনিসকে বিদায় জানিয়ে চলে যাব নিজ নিকেতনে।
পিংব্যাকঃ স্বপ্ননগরী ভেনিস নির্মাণের গল্প