মিউনিখবাসীর কাছে সামারের ছুটির হলুদ দুপুর গুলো যেন Karlsplatz বা Stachus স্কোয়ারে এসে আরও রঙিন হয়ে ওঠে। স্কোয়ারের চারিদিক নানান উজ্জ্বল রঙের টিউলিপ, ড্যাফোডিলরা রঙে রঙে মাতিয়ে রেখেছে।
অবসরপ্রাপ্ত, শপিং ক্লান্ত মিউনিখবাসী, বা উৎসাহী টুরিস্টদের এক মিলন মেলা বা একটু জিরিয়ে নেওয়ার জায়গা এই চত্বর, কিংবা শুধুই উদ্দেশ্যহীন সময় কাটানো বা নানা ধরণের মানুষ দেখার জায়গাও বলা যায় এই স্কোয়ারকে। ব্যভেরিয়ার ইলেক্টরের নামে এই স্কোয়ারের নামকরণ, কিন্তু মিউনিখবাসিরা এই স্কোয়ারকে Stachus নামেই পছন্দ করে।
এই Stachus স্কোয়ার থেকে বড় এক রাস্তা চলে গেছে Marienplatz এর দিকে – শুধুই পথচারীদের জন্যে সেই রাস্তা, আর দু’পাশে যথারীতি প্রচুর দোকান, রেস্টুরেন্ট, স্যুভেনির শপ, আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং সেন্টার – সব মিলিয়ে শপিং প্রেমীদের স্বর্গরাজ্য আর কি। এই স্কোয়ারের নীচেই আবার আন্ডারগ্রাউন্ড রেল ষ্টেশন – তাই শহরের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে যোগাযোগও অতি সহজ।
যাইহোক, ইউরোপের প্রতিটি শহরের মূল স্কোয়ারের এক বিশেষত্ব থাকে, এক আকর্ষণীয় স্থাপত্য থাকে যা সহজেই নজর কাড়ে – এই স্কোয়ারের মূল আকর্ষণ হল চোদ্দ শতাব্দীর গথিক স্টাইলে তৈরি সিটি গেট Karlstor। আঠারো শতাব্দীতে মিউনিখকে ঘিরে রাখা দুর্গ ও সুরক্ষা দেওয়াল ভেঙ্গে দিয়ে এই মিউনিখের নতুন স্কোয়ার তৈরি হয়েছিল, কিন্তু এই ঐতিহাসিক গথিক সিটি বা ক্যাসল গেট Karlstor কে সংরক্ষণ করা হয়েছিল ও ব্যভেরিয়ার কালেক্টরের নামে নামকরণও হয়েছিল – আর আজ বিদেশী টুরিস্টদের কাছে সেই গথিক গেটই মূল আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই চত্বরে এসে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে প্রচুর মানুষের আনাগোনা দেখে নেওয়াও যে এক কাজ – সবাই নিজের মতো করে সময় কাটাচ্ছে, জিনিস কিনছে, সুখী হচ্ছে, টিউলিপ বেডের পাশে রাখা চেয়ারে বসে রোদ পোহাচ্ছে, ফটো তুলছে নিজের মতো – এই সমস্ত ছোট ছোট ছবি জুড়ে দিয়ে এই জায়গার এক পুর্নাঙ্গ ছবি তৈরি হয়, আর আমাদের কাছে সেই ছবিই হয়ে দাঁড়ায় মিউনিখ ভ্রমণের সঞ্চয়।
Excellent…U have created a mark of your own…
Thank you for the encouraging comment.