যদিও পোর্তো শহরটি পোর্ট ওয়াইনের জন্যে বিখ্যাত, কিন্তু ঐতিহাসিক শহর কেন্দ্রে এতো ঐতিহাসিক চার্চ ও ক্যাথিড্রালের উপস্থিতি ইউরোপের অন্য কোন শহরে দেখি নি।
এই শহরের ঐতিহাসিক কেন্দ্রের মধ্যমণি Porto Cathedral বা Sé do Porto, দূর থেকে দেখে প্রাচীর ঘেরা দুর্গ বলে ভুল হয়। ১২ শতাব্দীতে তৈরি, Romanesque স্থাপত্যের এক অন্যতম নিদর্শন এই ক্যাথিড্রাল। যদিও শতাব্দী ধরে নানান সময়ে এই ক্যাথিড্রাল তৈরি হয়েছে, কিছু অংশ নতুন ভাবে তৈরি হয়েছে, কিন্তু পুরনো Romanesque স্থাপত্যের ছাপ অক্ষত।
মধ্যযুগের এই ক্যাথিড্রালে, পর্তুগালের পৃথিবী আবিষ্কারের যুগের পুরোধা Prince Henry the Navigator র ব্যাপ্টিজম হয়েছিল। Prince Henry the Navigator পনেরো শতাব্দীর এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব যিনি সেই সময়ে প্রচুর পর্তুগীজ নাবিকদের সমুদ্র পথে নতুন অভিযানে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
এখানেই ১৪ শতাব্দীতে পর্তুগালের রাজা King John I ইংল্যান্ডের রাজকুমারী Philippa of Lancaster কে বিবাহ করেন। ঐতিহাসিক এই চার্চ পোর্তোয় ঘটা অনেক ঘটনার নীরব পাথুরে সাক্ষী।
উঁচু দুই গম্বুজের ছুঁচলো চূড়া, দেওয়ালে নীল টাইলসে খ্রিষ্টীয় গল্প গাথার ছবি, বিশাল থাম দেওয়া টানা বারান্দায় তেড়ছা হয়ে পড়া শেষ বেলার রোদ, বিশাল চত্বরের ওপাশে দুরো নদীর বিস্তার, পোর্তোর ঐতিহাসিক ঘর বাড়ি – সব মিলে মিশে এই ক্যাথিড্রালের এক মায়াময় ঐতিহাসিক ছবি তৈরি হয়।