এখানে মধ্যযুগের শহর কেন্দ্রে, শহরের সরু অলি গলির বাতাসে থমকে আছে অতীত সময়, মধ্য যুগ। পর্তুগালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও ব্যবসা বানিজ্য কেন্দ্র পরতো, কিন্তু, এই শহরের গায়ে অহেতুক জাঁক নেই। নেই অহেতুক যান জট, ভিড় ভাট্টা, তাড়াহুড়ো। বেশ এক শান্ত ধীর লয়ে বয়ে চলে এই শহরের সাধারণ জীবন যাত্রা, আধুনিক সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকেও শহর কেন্দ্রের অলি গলিতে যেন একটু মলিনতারও ছাপ, প্রাচীনতার ছাপ। ঐতিহাসিক সময়ের সোঁদা গন্ধ যেন এখনও ভাসে এই শহরের হৃদয়ে, তাইতো UNESCO এই শহর কেন্দ্রকে করেছে World Heritage Site।
এই শহর দেখা মানেই দুরো নদীর তীরেরRibeira অঞ্চল। এই ঐতিহাসিক স্কোয়ার ঘিরে প্রচুর কফি শপ, রেস্টুরেন্ট। Ribeira মানে পর্তুগীজ ভাষায় নদীর তীর। এই Ribeira অঞ্চল থেকে পাহাড়ি গলি পথ চলে গেছে শহরের ভেতরে, দু’পাশে প্রচুর স্যুভেনিরের দোকান, স্থানীয় হস্ত শিল্পের দোকান, কফি শপ, রেস্টুরেন্ট।
ঐতিহাসিক সময় থেকে দুরো নদীর এই তীরের এই অঞ্চল ব্যবসা বানিজ্যের কেন্দ্র ছিল। আজ Ribeira ঐতিহাসিক স্কোয়ার টুরিস্টদের সবচেয়ে প্রিয় প্রান চঞ্চল এক জায়গা। Ribeira স্কোয়ারের মাঝে এক bronze cube দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বিকেলের দিকে, Ribeira ঐতিহাসিক স্কোয়ারের চারিদিকে সারি বাঁধা যে কোন রেস্টুরেন্টে বসে দুরো নদীর বুকে ভাসতে থাকা ছবির মত নৌকো গুলো দেখতে দেখতে বর্তমান সময় যেন পাড়ি দেয় অতীত সময়ে।
এই পাহাড়ি শহরে মধ্য ও আধুনিক যুগ পাশাপাশি চলে। তাই, এই শহরের পথে চলতে চলতে নানা সময়ের স্থাপত্য নজর কেড়ে নেয়। নজর কাড়ে, প্রচুর চার্চ, নানান বাড়ীর দেওয়ালে নীল টাইলসের উপরে আঁকা নানা ছবি গল্প।
শহরের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়বে, এই শহরের স্থানীয় বাজার Mercado do Bolhão, স্থানীয় খাবারের দোকান থেকে শুরু করে তাজা ফল, ফুল, সবজি, মাছ সবই এই বাজারের আকর্ষণ। পাহাড়ি এই শহরের চড়াই উৎরাই সহজেই ক্লান্ত করে, কিন্তু পথের ধারের রেস্টুরেন্ট আবার সেই ক্লান্তি জুড়িয়েও দেয়। ম্যাপ দেখে দেখে শহর কেন্দ্রের গলি পথ আবিষ্কার করতে করতে দিন শেষ হয়।
বিকেলের দিকে আবার ফিরি দুরো নদীর তীরে, Ribeira ঐতিহাসিক স্কোয়ারে। দুরো নদীর বুক ছুঁয়ে এক ঠাণ্ডা হাওয়া চুল এলোমেলো করে দিয়ে আমন্ত্রণ জানায়, ভালো লাগে। পরতো শহরের গলি পথ চেনা হয়ে রইল, হয়তো কখনো ভোর রাতের স্বপ্নের ঘোরে পরতোর কোন এক গলির মোড়ে নিজেকে পাবো।
apnake je ki bole dhonyobad janabo, apnar tola chhobiguli to ordhek golpo bole deye, tarpor apnar osadharon bornona, mone hoy ami jeno okhanei dnariye achhi. Apnar sathe sathe amaro vromon sara hoy. Aro ghurun, aro likhun, aro vromon hok amar. 🙂
আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ। আপনার ভালো লাগছে জেনে আরও উৎসাহিত হলাম। আরও লেখার প্রেরণা পেলাম। আবার ধন্যবাদ জানাই।