মানুষের তৈরি এই গুহায় দিনের আলো ও গুহার নিজস্ব অন্ধকার মিলেমিশে এক অদ্ভুত আলোছায়ার পরিবেশ তৈরি হয় – শতাব্দী প্রাচীন এই গুহা এককালে পর্তুগীজদের আনাগোনায় সরগরম ছিল। ছিল তাদের লুকোনোর জায়গা, পাথরের খাদান – শোণা যায় পর্তুগীজরা তাদের বিল্ডিং তৈরির জন্যে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে গিয়ে এই রহস্যময় গুহা তৈরি করেছিল।
দিউয়ের এই কেভে নামার আগেই দেখি গুটি কয় গাইড বসে, শীর্ণ চেহারার এক গাইড জিজ্ঞেস করল – কেভের ভেতরে যাওয়ার গাইড চাই? দরকার ছিল না, তবুও – আমরা গাইড নিয়েই ফেললাম। গুহার প্রান্ত কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছে কে জানে? স্থানীয় মানুষের একটু সাহায্য মন্দ নয়।
গাইডের কথা যদি এক বর্ণ বুঝতে পারতাম! শুরু থেকেই অনর্গল কথা বলতে শুরু করেছিল সে – ফরাসী থেকে শুরু করে পর্তুগীজ, গুজরাটি, হিন্দি, ইংরেজি কি নয় – সে সবই জানে। গাইডটি নাকি, মাটিতে পোঁতা, পর্তুগীজ গুপ্তধনের আশায় এক মাস কোন কাজ না করে নিজের বাড়ীর চৌহদ্দি খুঁড়েছিল – কিছুই না পেয়ে আবার কাজে নেমে পড়েছিল। প্রচুর তথ্য দিতে দিতে গুহার ভেতরের সমস্ত গলি খুঁজি দিয়ে নিয়ে চলল গাইড – এসে থামল টানেলের বন্ধ মুখের সামনে, যে টানেল ধরে এক সময়ে পর্তুগীজরা দুর্গে আসা যাওয়া করতে পারত – বর্তমানে দিউ সরকার, অন্ধকার সেই টানেল পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।
অদ্ভুত এক আলো গুহার ভেতরের অন্যান্য জায়গাকে, আলোকিত করে দিচ্ছিল। প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগের তৈরি গুহায় আলো হওয়ার চলাচল টুরিস্টদের আশ্চর্য করে – কি ভাবে সম্ভব? যাইহোক, দিউয়ের এই আশ্চর্য নির্জন গুহায় বিনামূল্যেই ঢোকা যায়, যে কোন মানুষের অবাধ যাতায়াত তবুও মারাত্মক ভাবে পরিষ্কার পরিছন্ন।
লোকটার নানান কথা শুনে, একটা সময় যখন গাইডকে চুপ করতে বললাম – গম্ভীর নির্জনতার এক শব্দ যেন আমাদের জন্যেই অপেক্ষা করেছিল। দিউয়ের এই নাইদা কেভে নেমে কান পেতে নির্জনতার শব্দ শুনতে হয় – নির্জনতার আবার কোন শব্দ হয় নাকি? হয় – দিউয়ের নাইদা কেভে সত্যিই নির্জনতার এক শব্দ হয় – এখানে প্রকৃতি এতোই নির্জন, কান পাতলে পাথরের বুকে কাঠবেরালির চলার আওয়াজ, গাছের পাতা ঝরে পড়ার আওয়াজ, পাথরের ফাঁক দিয়ে হাওয়ার শিস কাটার আওয়াজ স্পষ্ট শোণা যায় – সব কিছু নিয়ে দিউয়ের নাইদা কেভ থেকে এক অনবদ্য অনুভূতির অধিকারী হয়ে ফিরতে হয়, যে অনুভূতির ঘোর দিউ ছেড়ে আসার পরেও বহুদিন থেকে যেতে বাধ্য।
Wow! Very impressive. Such a beautiful place. Thanks for sharing.
Yes impressive indeed ….i liked the serenity of the place.
Yes, I agree. It is very serene and peaceful.