সামারের উজ্জ্বল দিনে, সোনালি আলোয়, দক্ষিণ ফ্রান্সের শহর আলবির গায়ে যেন এক অদ্ভুত নস্টালজিয়া, এক শান্ত নির্জনতা জড়িয়ে থাকে। শহরের বহু প্রাচীন টেরাকোটা রঙের বাড়ী গুলো, পাথরে বাঁধানো সরু গলি, প্রাচীন সেতু – যেন নিয়ে যায় অন্য এক প্রাচীন যুগে। আর আলবিকে ছুঁয়ে বয়ে চলা শান্ত নদী টার্নের বুকে, সেই প্রাচীন লাল শহরের ছায়া পড়ে।
এই লাল শহরের জনবসতির ছায়া বুকে নিয়ে যে নদী যুগ যুগান্ত ধরে বয়ে চলেছে, সামারে তাকে দেখে কে বলবে, যে, বন্যায় ইউরোপের অন্যতম ভয়ংকর নদীর মধ্যে দানিয়ুবের পরেই এর নাম চলে আসে।
ত্রিশের দশকে টার্নের ভয়ংকর বন্যার কথা আজও ফ্রান্সের মানুষ মনে রেখেছে। তাই, টার্নের বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্যে রিভার ইঞ্জিনিয়াররা নিত্য নতুন পন্থা অবলম্বন করে চলেছে। নদীর জলরাশিকে নিয়ন্ত্রণের জন্যে বাঁধ দেওয়া থেকে শুরু করে নদী পরিষ্কার সবই নিয়ম করে করা হয়।
দক্ষিণ ফ্রান্সের পাহাড় Mont Lozère এর দক্ষিণ থেকে শুরু হয়ে, পথে নানান পাহাড় শ্রেণী, জঙ্গল, শহর ছুঁয়ে ছুঁয়ে, প্রায় পৌনে চারশো কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে টার্ন এসে মিশেছে দক্ষিণ ফ্রান্সের আরেক বিখ্যাত নদী গারনের সঙ্গে।
দক্ষিণ ফ্রান্সের এই টার্ন নদীর উত্তালতাকে বাগে নিয়ে এসে, একে ঘিরে দক্ষিণ ফ্রান্সের পর্যটন শিল্পও সম্বৃদ্ধ হয়েছে। টার্ন নদীকে পাশে রেখে গড়ে উঠেছে অনেক হোটেল, রিসোর্ট, গলফ কোর্স, ওয়াটার স্পোর্টস আরও কতো কি – তাই টার্ন নদী ও টার্ন ভ্যালি দক্ষিণ ফ্রান্সের এক নামকরা টুরিস্ট গন্ত্যব্য বলা যায়।
সামারের উজ্জ্বল দুপরে টার্ন নদীর পাশে গিয়ে মনে হয়, নিজেদের জলসম্পদের কি ভাবে যত্ন নিতে হয়, রক্ষা করতে হয়, সুন্দর, পরিষ্কার রাখতে হয়, তা বোধহয় ইউরোপ খুব ভালো জানে।
আপনার এই বাংলা ট্র্যাভেলগ ভারি ভাল লাগে পড়তে…আরো মুগ্ধ হই ছবিগুলি দেখে। 🙂
সবসময় হয়ত মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনা কিন্তু পড়ি অবশ্যই …
অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইল। ভালো থাকবেন।
শিক্ষনীয়।।
ধন্যবাদ।
Darun.khub bhalo lage.
ধন্যবাদ। ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলাম।
vary nice