আঠারো শতাব্দীর মাঝামঝি সময়ে তৈরি তুলুস শহর কেন্দ্রের প্রাচীন বাগান – Le Jardin Royal। ফরাসী বিপ্লবের সময়ে বাগানের নাম – রয়্যাল বাগান, হোক তা অনেকেরই পছন্দ হচ্ছিল না, তাই বেশ কয়েকবার এই বাগানের নাম বদল হয়েছে। এই বাগানের নামকরণ – ‘পাবলিক’ না ‘রয়্যাল’ হবে সেই নিয়ে বহু জল ঘোলা করার পরে, বেশ এক ঐতিহ্যপূর্ণ নাম হিসাবে, উনিশ শতাব্দীর শেষের দিকে এই বাগানের নাম রয়্যাল গার্ডেনই রাখা হলো। এবং এই বাগান ফ্রান্সের সুন্দর ও ঐতিহ্যশালী বাগান গুলোর মধ্যে অন্যতম।
ইংলিশ স্টাইলের গার্ডেনের অনুকরণে সুন্দর সেতু, ফুলের বিছানা, বড় বড় গাছ ইত্যাদি দিয়ে ল্যান্ডস্কেপ তো আগেই তৈরি হয়েছিল, আবার বাগানের মধ্যে স্থানীয় শিল্পীর তৈরি ভাস্কর্য এই বাগানের এক দামী অলংকার।
বাগানের একদম মধ্যে বিশাল পুকুর, পুকুরের পাশে আবার প্রচুর হাঁসের বসবাস, তাদের থাকার জন্যে পুকুরের একদম মধ্যে এক সিমেন্টের তৈরি বড়সড় এক বাসা। এখানে বসবাসরত হাঁস ও পায়রাদের কখনোই খাওয়া দাওয়ার অভাব হয় না, সে দায়িত্ব তুলুস বাসীরা কবেই নিয়ে নিয়েছে।
ছুটির দুপুর বা বিকেলে অনেকেই হাঁস ও পায়রাদের জন্যে খাবার এনে দেয়, সামনে ছড়িয়ে দিয়ে ওদের খুটে খুটে দানা খাওয়া দেখতে দেখতে সময় কাটিয়ে দেয়। কেউ বা পার্কের চারপাশে দৌড়ে বা হেঁটে দৈনন্দিন স্বাস্থ্য চর্চা টুকু সেরে নেয়, কেউ বা পার্কের বেঞ্চে বসে নিজের সঙ্গে মুখোমুখি হয় – নির্ভেজাল সময় কাটায়। একটু খোলা হাওয়া, সবুজ কাছাকাছি যাওয়া তুলুসের জনজীবনের এক অঙ্গ।
শুরু থেকেই দেখেছি, এক উজ্জ্বল ছুটির দিনে তুলুস বাসীকে একমুঠো নির্মল সবুজ সময়, অফুরন্ত অক্সিজেনের ভাণ্ডার উপহার দেওয়ার জন্যে, তুলুস শহর কেন্দ্রের বিশাল কয়েকটা বাগান বছরের সারা সময়ই পরিপাটি করে সেজে থাকে – তবে, তুলুসের বাগান গুলো ফরাসী ঋতু বদলের সঙ্গে মানানসই সাজেই সাজে। শীতে ধূসর, সামারে নানা রঙের বাহারি ফুলে উজ্জ্বল, শীতের আগে পাতা ঝরানোর কমলা হলুদ রঙে রঙিন – সব রকম সাজেই তুলুসের বাগান গুলোকে দেখতে ভালো লাগে।
Too Good…mesmerizing write-up and presentation….
Thank you. Glad to know that you liked…
একটা একটা করে ছবিতে লাইক দিচ্ছিলাম। পরে দেখলাম সবগুলো ছবিই চমৎকার। তাই পুরো পোস্টের জন্য বিগ লাইক।
হ্যাঁ, তাই তো দেখছি। একটা বিগ লাইক পেয়ে আরও ভালো লাগলো। ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।