সুইজারল্যান্ডের নিখুঁত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রেমে পৃথিবীর মানুষ কেমন ডুবে আছে, সে সুইজারল্যান্ডে এসে প্রচুর টুরিস্টের আনাগোনা, প্রচুর টুরিস্ট বাস ইত্যাদি দেখে বোঝাই যায়। আর প্রকৃতির সৌন্দর্যকে টুরিস্টদের সামনে আরও আরও বেশী করে মেলে দেওয়ার জন্যে, উপভোগ করার জন্যে সুবিধা করে দেয় সুইস ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা ও সুইস ট্যুরিজম শিল্প।
নিখুঁত ভাবে সাজানো সুইজারল্যান্ডের প্রতিটি পাহাড়, পাহাড়ের গায়ে প্রতিটি অপূর্ব সুন্দর গ্রাম – সবই যেন তুলি দিয়ে আঁকা, আর সেই পাহাড় চূড়া থেকে শুরু করে গ্লেসিয়ারের চূড়া কোন কিছুই এখানে মানুষের অগম্য নয়, সুইস ইঞ্জিনিয়ারিং ঠিকই সেখানে পৌঁছে গেছে – আর সেই জন্যেই বোধহয় সুইজারল্যান্ড প্রায় সবার কাছেই এক কথায় ‘ড্রিম ডেসটিনেশন’।
আমাদের সুইস ভ্রমণের নানা পর্বে কখনো দেখেছি পাহাড়ের গায়ে তুষার গলা ঝর্ণা, কখনো হলুদ সবুজ মাঠ, কখনো তুষারপাত আবার কখনো এমনি সবুজ সৌন্দর্য, নিশ্চিন্ত, নিভৃত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সুইজারল্যান্ডের প্রকৃতি যেন প্রকৃত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক সংজ্ঞা – যা শুধু দু’ চোখ মেলে দেখতে হয়, অনুভব করতে হয়।
সুইস ভ্রমণ কালে তুষার সাদা পাহাড়, হলুদ সবুজ ঢালু উঁচু নিচু সাদা, সবুজ সুইস পাহাড়ের গায়ে গায়ে ছোট্ট গ্রাম গুলোর অপূর্ব সৌন্দর্য দেখতে দেখতে মনে হয় – সুইস ক্লাসিক গল্পের সেই ছোট্ট মেয়ে হাইডি বুঝি বা আজও সেখানে বসবাস করে, ফুলের বনে ছুটে চলে, প্রকৃতির কোলে অবাধ স্বাধীনতা উপভোগ করে, প্রকৃতির কাছ থেকে জীবনের শিক্ষা নেয়, তুষার চূড়ার দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন বোনে। আর, জীবনের চলার পথে যখন ঐ অপরূপ সুইস ক্লাসিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেদেরকে দেখি, এক অদ্ভুত আনন্দ ছুঁয়ে যায়, ভালো লাগে।
প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য যা অনন্তকাল ধরে পৃথিবীর বুকে সাজানো ছিল, সুইজারল্যান্ডে এসে সেই অপরূপ সৌন্দর্য দেখে হাজার টুরিস্ট রোমাঞ্চিত হয়, অভিভূত হয়। জীবনের অপূর্ব সেই সজল, সবুজ মুহূর্ত গুলো যেন এক একটি ফ্রেমে বাধানো অমূল্য ছবি হয়ে যায়, হয়ে যায় সারা জীবনের এক অমূল্য সঞ্চয়। আর সেই ছবির ফ্রেম গুলোয় নিজেকে দেখে কতো মানুষ জীবন জুড়ে স্মৃতি রোমন্থন করে যায়, সেই অপূর্ব সৌন্দর্যের ছবি যেন অবচেতন মনে রয়ে যায়, স্মৃতিতে বসবাস করে চলে জীবনভর, সুইস সৌন্দর্য মানুষকে তেমনি করে সম্মোহিত করে, দ্রবীভূত করে।
অপূর্ব সুন্দর ছবি। A+ দিলাম
শুভেচ্ছা রইলো এডমিন
অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা নেবেন।