মিউনিখ থেকে ট্রেনে লিন্দাওয়ের পথে যেতে যেতে জার্মানির বেভেরিয়া অঞ্চলের সৌন্দর্যে চোখ ডুবে যায়। শেষ এপ্রিলে শীতের সেই ধূসরতা কেটে গিয়ে আবহাওয়া এখন ঝলমলে। এই সময় এখানে এমনি সোনার দিনে উদার সবুজ মাঠে হলুদ ফুলের স্বপ্ন বিছানো, মনে হয় জীবনের সমস্ত চিন্তা-দুঃচিন্তা ভুলে হারিয়ে যাই সবুজ হলুদ দিগন্তে।
লিন্দাও বেভেরিয়ার প্রধান শহর ও Lake Constance এর এক দ্বীপ। অষ্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ডের সীমান্তে জার্মানির এই শহর প্রচুর টুরিস্ট আকর্ষণ করে। দূর থেকেই দেখা যায় লিন্দাও বন্দরের সিংহ দ্বার – একদিকে সিংহের মূর্তি, আরেকদিকে বাতিঘর এই সিংহ দ্বারের অলংকার বা লিন্দাওয়ের প্রতীক।
লিন্দাও ষ্টেশনে নেমে শহরের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। নির্ভেজাল, শান্ত, উজ্জ্বল ছুটির সকালে অনেকেই এখানে বেড়াতে আসে। তাছাড়া, ছোট্ট এই শহরে ১৯৫১ থেকে প্রতি বছর বিজ্ঞানের সমস্ত নোবেল বিজয়ীদের বৈজ্ঞানিক সম্মেলন হয়। পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ মস্তিষ্ক এখানেই নিজেদের চিন্তার আদান প্রদান করে, সেই দিক দিয়ে এই শহরের গুরুত্ব মহান।
সমুদ্র শহরের সমস্ত গুণে ভরপুর এই শহরের ছন্দে কেমন এক ছুটির আনন্দের সুর। এই সময় শহরের রাস্তায় সুন্দর টিউলিপ ও মরশুমি ফুল ফুটে আরও মনোরম করে তুলেছে। জলো হাওয়ার স্বাদ নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সময় চলে যায়। ফিরে আসার সময় হয়।
আজও যখন ভাবি, পৃথিবীর এক প্রান্তে এক শহর – লিন্দাও, পৃথিবীর পথে চলতে চলতে একদিন সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম, দেখেছিলাম, সেই শহরের হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিয়েছিলাম – কেমন এক উদাসীনতা ঘিরে ধরে, নাড়িতে যেন সুদূরের টান অনুভব করি।
Opurbo. Apnake dhonyobad bishesh kore ei karone, songer bistarito chhobi thakay ar apnar sundor bornonay, amaro vromon hoye jay ei sob jaygagulo. Thamben na, likhe jan. Amar moto onek ke somriddho korun. 🙂
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার যে ভালো লেগেছে, জেনে খুব ভালো লাগলো। 🙂