‘Snowflakes that stay on my nose and eyelashes/ Silver white winters that melt into springs/These are a few of my favorite things…’
অষ্ট্রিয়ার Salzburg যাওয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই প্রথম কথাই হলো ‘Sound of Music’ ছবিটি আরেকবার দেখে ফেলতে হবে। অস্টিয়াকে নিজের চোখে দেখার আগে ছবির মাধ্যমে দেখে নিতে চাই। অস্ট্রিয়ান আল্পসের উদার পটভুমিকা এই ছবির সৌন্দর্য, সুর এই ছবির প্রান। উদার নীল আকাশের প্রেক্ষাপটে Julie Andrews দু’ হাত ছড়িয়ে গানের দৃশ্য যেন মুক্তির খোঁজ দেয়। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পটভূমি, কিন্তু সারাটা ছবিতে সুরের মাধুর্য ছড়িয়ে আছে।
সত্যি ঘটনার উপরে আধারিত এই ছবির গল্প, তবে ছবির জন্যে অনেক সময় স্থান ও সত্যকে একটু রঞ্জিত করা হয়েছে।
বিপত্নীক ও কড়া নেভির Captain, Georg von Trapp এর সাত ছেলে মেয়েকে দেখা শোণার জন্যে অল্প বয়সী Maria নিযুক্ত হয়েছে। মিলিটারির অনুশাসনে বাঁধা ক্যাপ্টেনের ছেলে মেয়েদের সঙ্গে সুরের মাধ্যমে মারিয়ার এক মানবিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুর ও ছন্দে যখন রোমাঞ্চ দানা বাঁধে তখনি যুদ্ধের জন্যে নেভির দ্বায়িত্ব নেওয়ার জন্যে ক্যাপ্টেনের ডাক আসে। অষ্ট্রিয়া তখন হিটলারের জার্মানির কাছে সমর্পণ করেছে, কিন্তু Captain Georg von Trapp নাজি বিরোধী ব্যাক্তিত্ব। কিছুতেই তিনি হিটলারের দলে নাম লেখাতে চান না।
এই ছবি অনুযায়ী হিটলারের বাহিনীতে যোগ দেওয়া থেকে নিজেকে ও পরিবারকে বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে মারিয়া ও সাত ছেলেমেয়ে সহ ক্যাপ্টেন সারা রাত পাহাড় ডিঙ্গিয়ে সুইজারল্যান্ডে চলে যান। কিন্তু, আসলে Georg von Trapp পরিবার দিনের আলোয় ট্রেনে করে ইতালিতে চলে আসেন ও পরে আমেরিকার উদ্দ্যেশ্যে পারি দেন।
পরবর্তী জীবনে Georg von Trapp পরিবার দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পরে কনসার্টে গান করেই জীবিকা নির্বাহ করেছিল ও ইউরোপের নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে কনসার্ট করতো। পরে Georg von Trapp পরিবার আমেরিকার গিয়ে ৬৬০ একর জমি কিনে Trapp Family Lodge তৈরি করে শেষ জীবন কাটিয়েছিলেন ।
আমার মনে হয়, সুরের জন্যে, অপূর্ব দৃশ্যের জন্যে একবার নয় বার বার দেখা যায় এই সিনেমা।