দুব্রভনিক শহরের ঐতিহাসিক সিটি ওয়ালের বাইরে অবস্থিত দুর্গটির নাম Fort Lovrijenac , স্থানীয়রা কখনোবা একে ভালোবেসে দুব্রভনিকের জিব্রাল্টার বলে। আর এই দুর্গটিতে ঢোকার মুখে সেতুটির গেটে ক্রোয়েশিয়ার ভাষায় যা লেখা ছিল – তার ইংরেজি মানে হল – ‘Freedom is not to be sold for all the treasures in the world’ ।
আর এই কথাটিকে ওরা যে বিশ্বাস করে তারই নিদর্শন হল এই দুর্গ। এই দুর্গটি নাকি মাত্র তিন মাস সময়ে তৈরি হয়েছিল – অবশ্য তারপর ক্রমাগত আভ্যন্তরীণ কাজ হয়েছিল।
এই দুর্গটি ক্রোয়েশিয়াকে Venetian শাসনের হাত থেকে প্রতিরোধ করার জন্যে বিখ্যাত। আজ যেখানে এই দুর্গটি দাঁড়িয়ে আছে, ঠিক সেখানেই Venetian রা দুর্গ তৈরি করতে চেয়েছিল – এবং সেই জন্যে জাহাজ ভর্তি করে দুর্গ তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে এসেছিল। কিন্তু এই দুর্গ ও দুভ্রভনিকের মানুষরা মিলে সেই Venetian দের প্রতিরোধ করেছিল – Venetian দের ভেনিসে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল। যদি Venetian এখানে দুর্গ তৈরি করতে সক্ষম হত – দুব্রভনিকে Venetian শাসন কায়েম হত। কিন্তু এখানের মানুষ Venetian দের অর্থ ও শাসনের বিনিময়ে নিজেদের স্বাধীনতা হারাতে চায় নি।
যাইহোক, ত্রিকোণ আকারের এই দুর্গের বাইরের দিকের দেওয়াল, যা সমুদ্রের দিকে আছে, তা যথেষ্ট পুরু – প্রায় বারো মিটার চওড়া দেওয়াল। আর ভেতরের দিকে যে দেওয়াল দুব্রভনিক শহরের দিকে মুখ করে আছে – তা মাত্র ষাট সেন্টিমিটার পুরু। এতেই বোঝা যায় এই দুর্গটি কি ভাবে দুব্রভনিক শহরের সুরক্ষার জন্যে তৈরি হয়েছিল।
বর্তমানে এই দুর্গ দুভ্রভনিক শহরের এক অন্যতম টুরিস্ট গন্ত্যব্য। এই দুর্গের ছাদে দাঁড়িয়ে দুভ্রভনিকের সিটি ওয়ালকে সম্পূর্ণ ভাবে দেখা যায়। সিটি ওয়ালের টিকিট ব্যবহার করে এই দুর্গে ঢোকা যায়।
এখানে এসে দেখা যায়, একদিকে দিগন্ত নীল সমুদ্রের উদার হাতছানি, আরেক দিকে কঠিন পাথরের বুকে মানুষের তৈরি প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন – এখানে এসে সময় গেছে থেমে, আর সেই থমকে যাওয়া সময়ের সঙ্গে এসে মেশে বর্তমান সময়ের গতিপথ।
এক অদ্ভুত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নেশায় মগ্ন এই জায়গা। এখানে সময় চলে রোম্যান্টিক স্বপ্নের নক্সা বুনে বুনে – এখানে সমুদ্রের নীল, আকাশের নীল ও সোনালি রোদ্দুর মিলে স্বপ্ন ছবি আঁকে – যে ছবির মোহে বাঁধা পড়ে যায় পৃথিবীর নানা দিকের মানুষ।
darun…. travel bolgger e career korte gale 1st ki korte hobe jodi bolen
প্রথমে আমার এই ব্লগ দেখার জন্যে ধন্যবাদ। আসলে ট্র্যাভেল আমাদের এক হবি, তাই ট্রাভেল ব্লগিংকে কেরিয়ার হিসাবে দেখি নি। তবে আমি এইটুকু বলতে পারি যে, ট্রাভেল ব্লগিং এর প্রথম স্টেপ হল – ট্রাভেল এবং সঙ্গে লেখা। তারপর হয়তো সেই হবি একদিন কেরিয়ারে বদলে যেতে পারে।