শিল্পী যখন কোন ভাস্কর্য তৈরি করে কিংবা ছবি আঁকে বা যে কোন জিনিসই সৃষ্টি করে – তার শিল্পে তার নিজের জীবনের চেয়েও বড়, মহান, বৃহত্তরকে ধরে রাখার চেষ্টা করে। আর সেই শিল্প হয়ে যায় এক প্রতীক – জীবনের প্রতীক কিংবা কোন এক জায়গার।
তেমনি সুইডেনের গথেনবার্গ শহরের কেন্দ্রে যে ফোয়ারা দেখা যায় – সেই ফোয়ারা পাঁচটি মহাদেশের প্রতীক। যেন, ঐ একটি ফোয়ারাতেই বৃহৎ পৃথিবী স্থান পেয়েছে।
ফোয়ারাটির কেন্দ্রের গ্রেনাইট পাথরে তৈরি বড় ফোয়ারাকে ঘিরে যে ভাস্কর্য ও ছোট ফোয়ারা গুলো দেখা যায় তা এক একটি মহাদেশের প্রতীক – ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতীক। আগে এই জায়গা থেকে লোহা ওজন করে পৃথিবীর নানা দেশে পাঠানো হতো।
তাই এই জায়গার সঙ্গে সমুদ্র যাত্রা ও অন্য মহাদেশে যাত্রার গল্প জড়িয়ে আছে।
হয়তো, সেই জন্যেই এই জায়গায় পঞ্চ-মহাদেশ ফোয়ারার স্থান হয়েছে। ছোট্ট এক জায়গাকে আন্তর্জাতিক ছোঁয়া দেওয়া হয়েছে।
অক্টোবরের ধূসর শীত সকালে যদিও এই স্কোয়ারে খুব একটা লোকজন চোখে পড়ে না, হয়তো সামারে এই ফোয়ারা স্থানীয়দের সময় কাটানোর এক মুখ্য জায়গা।