এতো আর ছোট্ট এক সুভেনির মনুমেন্ট নয়, যে কাঁচের বাক্সে ভরে নিয়ে শো কেসে সাজিয়ে রাখা যায়! এ এক আকাশ ছোঁয়া স্থাপত্য – পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে অন্যতম। প্রায় একাশি তলা উঁচু বিল্ডিঙের সমান উচ্চতা, সঠিক ভাবে ১০৬৩ ফুট উচ্চতার এই টাওয়ার ফ্রান্সের দ্বিতীয় উচ্চতম স্থাপত্য।
আর সেই জন্যেই ফ্রান্স এই আইফেল টাওয়ারকে ঘিরে এক বুলেট প্রুফ কাঁচের দেওয়াল তৈরি করবে। লুভ্যরে মিউজিয়ামে মোনালিসাকে তো বুলেট প্রুফ কাঁচের ফ্রেমের মধ্যেই রাখা হয়েছে, কিন্তু ঐ আকাশ ছোঁয়া স্থাপত্যকে বুলেট প্রুফ কাঁচ দিয়ে মুড়ে দেওয়া? প্রায় আট ফুট উঁচু বুলেট প্রুফ কাঁচ দিয়ে আইফেল টাওয়ারকে মুড়ে দিতে খরচ হবে প্রায় – তিনশো মিলিয়ন ইউরো।
যে স্থাপত্য ফরাসীদের পরিচয়, গর্বের প্রতীক, জাতীয় সম্পদ, যে স্থাপত্যকে দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ প্যারিসে যায় – তাকে সঠিক ভাবে সত্ন নেওয়ার, বাঁচিয়ে রাখার জন্যে ফ্রান্সের মানুষ তো চেষ্টা করবেই। বর্তমানে আইফেল টাওয়ারকে ঘিরে এক দেওয়াল দেওয়া আছে, আইফেল টাওয়ারের নীচে গেলে টাওয়ারকে সরাসরি দেখা যায় না।
আমরা যে সময়ে আইফেল টাওয়ারকে দেখেছিলাম, আইফেল টাওয়ারের আশেপাশে টুরিস্টদের অবাধ যাতায়াত ছিল, কোন বাঁধা ছিল না। খোলামেলা পরিবেশে আইফেল টাওয়ারের বিশালতাকে দেখে বিমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।