সুইডেনের পুরনো দিনের মাস্তুল লাগানো পাল তোলা এক প্রাচীন ভাইকিং জাহাজের ঘরে থাকার অনুভূতিটি ঠিক কি ধরণের হতে পারে, কিংবা মাঝ সমুদ্রে, ভাইকিং জাহাজ সমুদ্র ঝড়ের মুখে পড়লে কি ধরণের টালমাটাল হতে পারে, কি ভাবে পালে হাওয়া লাগে – তা জানতে পারি নি।
কিন্তু, অক্টোবরের সেই সন্ধ্যায় হাড় হিম ঠান্ডায়, গথেনবার্গ বন্দরে শেষ ফেরীর জন্যে অপেক্ষা করতে করতে, বন্দরে দাঁড়ানো সেই আলোকিত প্রাচীন জাহাজটি মুহূর্তেই নজর কেড়ে নিয়েছিল।
গথেনবার্গ বন্দরের অত্যাধুনিক ফেরী, নৌকো ও জাহাজের উপস্থিতির মধ্যে সেই প্রাচীন ভাইকিং জাহাজের উপস্থিতি একটু আশ্চর্য বলেই মনে হয়েছিল। স্বভাবতই মনে নানান কৌতূহল জেগেছিল – প্রথমত এর উপস্থিতি, দ্বিতীয়ত এর অদ্ভুত এন্টিক সৌন্দর্য।
শুনেছি, এই ধরণের জাহাজে করেই ভাইকিংরা সমুদ্র অভিযানে, ব্যবসা বানিজ্যে যেত। পরে, জেনেছিলাম – এ এক হোটেল। সমুদ্রের মধ্যে এক ভাইকিং জাহাজে রাত কাটানোর অনুভূতি কেমন হতে পারে তা জেনে নিতে অনেকেই এই হোটেলে থাকতে চায়। ১৯০৭ এ এক প্রাচীন ভাইকিং জাহাজকে মেরামত করে উনত্রিশ রুমের হোটেলে পরিণত করা হয়েছিল। হোটেলের প্রত্যেকটি রুম থেকে সমুদ্র দেখা যায়।
যাইহোক, রাতে, নরম হলুদ আলোয় আলোকিত সেই ভাইকিং জাহাজের ক্লাসিক সৌন্দর্য দেখে অনেকেই ক্যামেরায় চোখ রাখে।