শিকাগো নদীর পাশে, শিকাগো শহরের দৃশ্যে, যে আকাশ চুম্বী বিল্ডিং আকাশের গায়ের মেঘ গুলোকে ছুঁয়ে ফেলার প্রচেষ্টা করে, তা দেখে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের মনে হতেই পারে, নাঃ লোকটার দেখছি আকাশ ছুঁয়ে ফেলার নেশা বরাবরই ছিল।
শোণা যায়, লোকটা নাকি সত্যিই আকাশ ছুঁয়ে ফেলতে চেয়েছিল। সে চেয়েছিল, শিকাগোর অন্যতম উঁচু এই বিল্ডিংকে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং বলে গণ্য হবে, বিল্ডিঙের উচ্চতা হবে পনেরোশো ফুট, কিন্তু, আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উপরে বিমান হামলার পরে, ট্রাম্প সেই সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছিল। তখন আটানব্বই তলার এই উঁচু বিল্ডিং এর উচ্চতা ১৩৮৯ ফুটে এসে থেমে গিয়ে, পৃথিবীর চতুর্থতম উঁচু বিল্ডিং হয়ে রয়ে যায়। আমেরিকা সব বিষয়েই এক নজির সৃষ্টি করার চেষ্টা করে, যেমন, আকাশ ছোঁয়া এই বিল্ডিঙের উপরের তলা তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ করার জন্যে হেলিকপ্টার ব্যবহার হয়েছিল।
শিকাগোর বিখ্যাত ও ব্যস্ত রাস্তা মিশিগান এভিনিউের অংশ এই টাওয়ারকে শিকাগো শহরের অহংকার বললেও যেন খুব একটা ভুল বলা হবে না। শেষ বিকেলের ধূসর আলোয় যখন একে একে শিকাগো শহরের সমস্ত লাইট জ্বলে ওঠে, ট্রাম্প টাওয়ারও যেন আলোয় আলোয় সেজে ওঠে। আর কাঁচের তৈরি ট্রাম্প টাওয়ারের গায়ে আশপাশের স্থাপত্য গুলোর প্রতিবিম্ব তৈরি হয়। ট্রাম্প টাওয়ার ঠিক ওই ভাবেই ডিজাইন করা হয়েছিল – যাতে আশেপাশের বিল্ডিং গুলোর ছবি ট্রাম্প টাওয়ারের গায়ে তৈরি হয়। তিন ধাপে তৈরি এই বিল্ডিং প্রচুর শিকাগো শহরের নামী দামী রেস্টুরেন্ট, তিন থেকে শুরু করে চার ও পাঁচ তারা হোটেল, স্পা ইত্যাদির ঠিকানা।
যাইহোক, আকাশ চুম্বী অট্টালিকা, নগর জীবনের এক অঙ্গ । পৃথিবীতে আরও নতুন নগর তৈরি হতে পারে, আরও উঁচু বিল্ডিঙের জন্ম হতে পারে, কিন্তু সেই অট্টালিকার নামের সঙ্গে যদি আমেরিকার ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টের নাম জড়িয়ে থাকে – এবং সেই নাম অবশেষে সত্যিই প্রেসিডেন্ট হয়ে যায়। আলাদা করে সেই অট্টালিকাকে মনে রাখতে হয়, বৈ কি।
Ooh good to see Trump tower. Thanks for sharing this information.
thanks for the comment.