এক টুকরো জমি, একটি পাহাড়, কিংবা জলাভূমির অধিকার নিয়ে সারা পৃথিবী জুড়ে যখন শুধুই রক্ত খরচের কথাই শোণা যায়, পুরাণ থেকে নিয়ে ইতিহাস, রাজনীতি, কূটনীতি যখন মানুষের কথা চিন্তা না করে জমির পরিধি বাড়ানোর জন্যে যুদ্ধ ও যুদ্ধ জয়কেই প্রাধান্য দেয় – সেই সময় নরওয়ের প্রধান মন্ত্রী যখন ফিনল্যান্ডের স্বাধীনতার শতবার্ষিকীতে ফিনল্যান্ড ও নরওয়ের সীমান্তের একটি পাহাড় ফিনল্যান্ডকে উপহার হিসাবে দেওয়ার কথা ভাবে, আজকের বিশ্বের কাছে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের এক নিদর্শন তৈরি হয় – ইতিহাসের পাতায় তখন এক নতুন গল্প, বন্ধুত্বের গল্প লেখার সূচনা হয়।
নরওয়ে ও ফিনল্যান্ডের সীমান্তে Halti পাহাড় শ্রেণীর বেশীর ভাগ অংশ ফিনল্যান্ডের দিকে, কিন্তু সবচেয়ে উঁচু চূড়াটি Halti peak নরওয়ের দিকে। অধিকাংশ নরওয়ে বাসিরাই মনে করে, ফিনল্যান্ড যখন পরের বছর তাদের স্বাধীনতার জন্ম শতবার্ষিকী পালন করতে প্রস্তুত হচ্ছে, সীমান্তের Halti পাহাড় শ্রেণীর উঁচু চূড়াটি যদি ফিনল্যান্ডকে দিয়ে দেওয়া হয় – এর চেয়ে ভালো উপহার আর হতে পারে না – এক ঐতিহাসিক উপহার।
আর সেই পাহাড় চূড়া উপহার দিলে, নরওয়ের ম্যাপের প্রায় কিছুই বদলাবে না, শুধু নরওয়ে থেকে মাত্র 0.015 স্কোয়ার কিলোমিটার জমি ফিনল্যান্ডের অধিকারে চলে যাবে – যথা ভাবা তথা কাজ। বেশীরভাগ নরওয়ে বাসী সেই উপহারের পক্ষে ছিল, কিন্তু, বাঁধা ছিল আইনের – দুই দেশের জমির এগ্রিমেন্ট নিয়ে। কিন্তু, সব বাঁধাই নরওয়ে বাসীদের এই উপহার দেওয়ার ভাবনা থেকে বিরত রাখতে পারে নি। এমনকি, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরও ভাবতে শুরু করে দিয়েছে – ফিনল্যান্ডকে কি ভাবে সেই পাহাড় চূড়া উপহার দেওয়া যায়। জন্ম দিনের শুভেচ্ছা সহ একটি পাহাড় – এর চেয়ে ভালো উপহার কি আর হতে পারে?