Science is a beautiful gift to humanity; We should not distort it – Dr APJ Abdul Kalam
তিনি বলেছিলেন, Goodbyes should be short, really short – তা বলে, বিদায় এতোই ছোট হবে, যে তিনি তাঁর শেষ লেকচারটুকুও শেষ করে যেতে পারলেন না। মৃত্যু কি মানুষকে ঐ টুকু সময়ও দিতে নারাজ। নাকি, মৃত্যু এমনি, মানুষই তাকে চেনে না- কে জানে? তার জীবনের এই কথাটি রাখার জন্যেই যেন শিলং এর পাহাড় তাঁকে ডেকেছিল।
চুরাশি বছর বয়সে সুস্থ অবস্থায় ডঃ আব্দুল কালামের মৃত্যু ভারতবর্ষকে শোক স্তব্ধ করেছে। কোন কোন মানুষ পৃথিবীতে আসে, যাদের চিন্তা, ভাবনা, স্বপ্ন, কর্ম সবই এতো সুদূর প্রসারী থাকে, ওরা অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলার স্বপ্ন দেখে, পেছনে যখন রেখে যায় প্রচুর ছাত্র ছাত্রী, গুণমুগ্ধ পাঠক পাঠিকা – যে ওদের মৃত্যু কিছুতেই মন থেকে মেনে নেওয়া যায় না, সে যদি হাজার বছরের হয়, তবুও না।
তবে, এই ধরণের বড় মাপের মানুষ তাদের জীবন দিয়েই মৃত্যুর শূন্যতাকে পরাজিত করে দেয় – তাঁর স্বপ্ন যে বেঁচে থাকবে ভারতবর্ষের কোণে কোণে। দক্ষিণের সমুদ্র তীরের এক ছোট্ট শহর থেকে শুরু করে, শিলং পাহাড়ের কোল পর্যন্ত, গোটা ভারতবর্ষ নিয়ে যার জীবনের ব্যাপ্তি, প্রসারতা, চিন্তা, ভারতবর্ষের ছাত্র ছাত্রীদের মনে যিনি স্বপ্ন দেখার – অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলার সাহস যোগান, বিজ্ঞানকে ভালোবাসার প্রেরণা দেন – তিনি ভারতবাসীকে অসম্ভব স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন, ঘুমের ঘোরে রাতের স্বপ্ন নয়, যে স্বপ্ন রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়ে কাজে মগ্ন করে দেয়, তেমনি স্বপ্ন দেখার প্রেরণা দিয়েছিলেন – তাঁকে ভারতবর্ষের মানুষ সহজে ভুলে যেতে পারে না।
তাঁর বিদেহী আত্মার চির শান্তি কামনা করছি।
আমরা তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।