পোর্তো শহরের পুরনো অঞ্চলে এসে বড় রাস্তার মোড়ে বহু দূর থেকেই Clérigos চার্চ ও চার্চের আকাশছোঁয়া বেল টাওয়ার ‘Torre dos Clérigos’ কে দেখা যায়। আঠারো শতাব্দীতে তৈরি বারোক স্থাপত্যের নিদর্শন এই চার্চ ও বেল টাওয়ার পোর্তো শহরের এক প্রতীক। পুরনো পোর্তো শহরের সবচেয়ে উঁচু এই টাওয়ারটি দুরো নদীতে ভাসমান জাহাজ থেকেও দেখা যায় – প্রাচীন কালে এই টাওয়ার নাকি নাবিকদের পথ দেখাতো।
প্রায় সাড়ে চারশো ধাপ দিয়ে তৈরি সিঁড়ি, বেল টাওয়ারের একদম চূড়ায় নিয়ে যায়। পাহাড়ি ঢালু রাস্তা ধরে চার্চের দিকে যাওয়ার সময়ে দূর থেকেই দেখা যায় এই চার্চ। চার্চের গায়ে প্রচুর পাথুরে কারুকার্য, এর স্থাপত্যে খুবই প্রাচীন এক ছাপ। শহরের বুকে মাঝারি আকারের এই প্রাচীন চার্চের উপস্থিতি জায়গাটাকে এক ঐতিহাসিক চেহারা দিয়েছে।
পোর্তো শহরকে পাহাড়ি শহর বললেও খুব একটা ভুল বলা হবে না – এই শহরের পথে পথে প্রচুর চড়াই উৎরাই। Clérigos চার্চের সামনে দাঁড়িয়ে ঢালু রাস্তায় পোর্তো শহরের জন জীবনের দিকে চোখ রাখি – যে জন জীবন শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই শহরের বুকে বয়ে চলেছে, সেই অনন্ত জন জীবনের ক্ষণিক দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে হয়তো যে কোন মানুষই ধন্য হয়, তাই তো প্রাচীন এই পোর্তো শহরে প্রচুর টুরিস্ট ভিড় করে। ভালো লাগে, এই প্রাচীন শহরের পথে হেঁটে এই শহরকে আবিষ্কার করতে। ভাবতে ভালো লাগে, আমাদের জীবনের এক অধ্যায়ে এই প্রাচীন পোর্তো শহরেরও একটু ভুমিকা রয়ে গেল।
চমৎকার জায়গা। পাহারের গায়ে জনবসতি আর তার মাঝে টাওয়ার সত্যিই মনোমুগ্ধকর।
আপনার দৃষ্টিতেই দেখে নিলাম পোর্তো শহরের মোড়।
শুভ কামনা জানবেন 🙂
ধন্যবাদ। আপনাকেও শুভেচ্ছা জানাই। ভালো থাকবেন।