September 2013, Prague, Czech Republic
প্রাগের ক্যাসল থেকে নেমে এই রূপকথা নগরীর ঐতিহাসিক রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যাই চার্লস ব্রিজ। চেক রিপাবলিকের দীর্ঘ নদী – Vltava র বুকে প্রাগের অন্যতম সুন্দর, অলঙ্কৃত সেতু এই চার্লস ব্রিজ। চার্লস ব্রিজ তার স্ট্যাচু , প্রতিদিনের টুরিস্টদের আগমন, জ্যাজ, রক সঙ্গীত, ছবি – এই সমস্ত দৈনন্দিন উৎসব মুখরতা নিয়ে প্রাগের অন্যতম টুরিস্ট আকর্ষণ।
চার্লস ব্রিজ পেরিয়ে প্রাগের পুরনো টাউন স্কোয়ারের দিকে হাঁটি। পুরনো টাউন স্কোয়ারের চারিদিকে মিউজিয়ামের সারি, সালভাদর দালির প্রদর্শনী চলছে।
এই পুরনো স্কোয়ারে ঢোকার মুখেই সবচেয়ে পুরনো গথিক অংশে, এক ক্লক টাওয়ারের অদ্ভুত সুন্দর নীল astronomical clock চোখে পড়বেই। প্রায় ছ’শ বছরের পুরনো এই ঘড়ি, পৃথিবীর তৃতীয় প্রাচীনতম astronomical clock যা কিনা আজও সচল, আজও সঠিক সময় দেখায়। এই ঘড়ির বিশেষ ডায়াল সময়ের সঠিক মাপ দেওয়ার সাথে সাথে আকাশের গ্রহ নক্ষত্র, সূর্য ও চন্দ্রের অবস্থানও দেখায়।
সকাল নটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় ঘড়ির উপরের দিকে, বারোটা Apostles দেখা দেয় এবং ওদের নাচ হয়। ঘড়ির দু’পাশের মূর্তি গুলোও চলা ফেরা করে। বিশেষ নজর কাড়ে মৃত্যুর দূত, এক কঙ্কালের ঘণ্টা বাজানো। প্রতি ঘণ্টায় কঙ্কালটি হাতের ঘণ্টা বাজিয়ে সময়ের জানান দেয়। মানুষকে যেন মনে করিয়ে দেয় প্রতি মুহূর্তে, প্রতি ঘণ্টায় মানুষ মৃত্যুর দিকেই ধাবিত হচ্ছে।
এই স্কোয়ারে প্রচুর মানুষ বসে স্থানীয় গায়কের গান শুনছে। রীতিমত নানান বাদ্য যন্ত্র সহকারে লাইভ কনসার্টে এই স্কোয়ার জমজমাট। এই স্কোয়ারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসা মানুষের মধ্যে ছুটির দুপুরের আলস্য জড়িয়ে আছে।
এই স্কোয়ারে ১৪ শতকের এক অদ্ভুত স্থ্যাপত্য নজর কেড়ে নেয় সহজেই – Church of Our Lady before Týn। এই চার্চের গঠনশৈলীতে গথিক ও বারক স্থাপত্য যেন একে অন্যের পরিপূরক।
এই চত্তরের এক অংশে Jan Hus এর স্মৃতির উদ্দ্যেশ্যে এক বিশাল মূর্তি রাজত্ব করে। তাঁকে ধর্মীয় কারণে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। তাঁর পাঁচ শত মৃত্যু বার্ষিকীতে এই মূর্তি স্থাপন করা হয়।
প্রাগের ঐতিহাসিক পথ ধরে হেঁটে চলি। হয়তো, কাফকা (Franz Kafka) এই পথেই হেঁটেছিলেন। কাফকার পথ ধরে হেঁটে যাই শহরের অন্য দিকে।
Astonishing post.The pictures are excellent.jalal
Thank you very much for the comment…