গ্লোবালাইজেশনের যুগে আজ ছোট ছোট জায়গার নিজস্ব সংস্কৃতি, নিজস্ব অনুষ্ঠান হারিয়ে যেতে বসেছে- সে কথা বহুদিন ধরে শুনে এসেছি। আবার খবরের কাগজের প্রথম পাতায় খরায় গরীব চাষির আত্মহত্যার খবরও পড়েছি। এ খবর এতো সাধারণ যে মনে দাগ কাটে না। মানুষ এতো শহর মুখি হয়ে গেছে যে গ্রামের কোন খবরেই কারোর টনক নড়ে না। অথচ আমরা ভুলে যাই যে শহর যদি হয় মস্তিস্ক, গ্রাম তাহলে আমাদের ফুসফুস।
খরা, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অপুষ্টি, অশিক্ষা নিয়ে যখন অন্ধ্রপ্রদেশের আনান্তাপুর জেলার মানুষের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছিল, যখন আরও বেশি দারিদ্র্যতায় ডুবে যাচ্ছিল ঠিক তখুনি তিম্বাক্টুর জন্ম। তিম্বাক্টু এক আশার নাম, প্রকৃতির মমতার নাম।
তিম্বাক্টু র (Timbaktu) জন্ম হয় ১৯৯০ সালে, যখন প্রথম জমি কেনা হয়, খরায় জর্জরিত লাল নেড়া পাহাড় ঘেরা জমি ছিল। অথচ এই তিম্বাক্টুর আশেপাশের পাহাড় এলাকাকে রিসাভ ফরেস্ত বলা হয়েছিল সরকারের তরফ থেকে কিন্তু কোন জঙ্গল নেই শুধু শুকনো জমি।