ওরা কি বাবা ও মেয়ে? সঙ্গে কি মাও আছে? একই পরিবারের লোক ওরা? কে জানে। বাবা মেয়েই বোধহয়।
ওরা সেই দিন খুবই ব্যস্ত ছিল – হয়তো, প্রতি ছুটির বিকেলে ওরা হেলসিঙ্কি শহর কেন্দ্রের পার্কের ঠিক ঐ জায়গাতেই থাকে। হয়তো, হেলসিঙ্কি গিয়ে অনেকেই ওদের দেখা পেয়েছে। সেই দিন আমরাও ওদের দেখা পেয়েছিলাম।
সামারের দীর্ঘ ফিনিস বিকেলের রঙ ফিকে ধূসর হলে কি হয় – ওরা দেখিয়ে চলেছিল সূর্যের সাত রঙের খেলা। ছোট্ট মেয়েটি তার বাবার সঙ্গে, আপন মনে দেখিয়ে চলেছিল তার কেরামতি।
এক বোতল সাবান জল, তার ও কাঠের কাঠি – এই ছিল ওদের খেলা দেখানোর সরঞ্জাম। আমাদের চোখের সামনে সাবানের এক একটা ক্ষণস্থায়ী বুদবুদ তৈরি হচ্ছিল – বিশাল আকারের সেই বুদবুদ গুলো, কিছু ক্ষণের মধ্যেই ফেটে যাচ্ছিল। আবার কখনো বাতাসের সঙ্গে বুদবুদ গুলো ভেসে যাচ্ছিল, বড় হতে হতে ফেটে যাচ্ছিল। আবার নানান আকারের ক্ষণস্থায়ী বুদবুদ তৈরি হওয়ার আগেই ফেটে যাচ্ছিল।
কিন্তু, ঐ টুকু সময়ের মধ্যেই ঐ বিশাল বুদবুদ গুলো তৈরি করে চলেছিল অপূর্ব সব রঙ – রামধনুর রঙ – লাল, নীল, সবুজের এক মায়া গোলক। পথ চলতি অনেকেই দাঁড়িয়ে ওদের ঐ রামধনু রঙ তৈরির সেই খেলা দেখছিল। আশ্চর্য হয়ে ওদের নিমগ্নতা দেখছিল – ঐ মুহূর্তে, সাবানের ফেনায় রঙ তৈরির চেয়ে অন্য কোন কাজ বোধহয় ওদের কাছে গুরুত্বহীন ছিল।
আকাশে, সেই দিন বৃষ্টি-ধনুর রঙ নাই বা ছিল, কিন্তু ওরা ঠিকই, সাবানের ফেনায় রামধনুর সাত রঙ তৈরি করে চলেছিল। রামধনুর সাত রঙ খুঁজে নিতে হলে সব সময়ই যে আকাশের রামধনুকেই প্রয়োজন, তা নয়। জীবনেও বোধহয় মাঝে মাঝে সাবানের বুদবুদের মধ্যেই রামধনুর সাত রঙকে খুঁজে নিতে হয়।
আগে তো দেখলাম ডোমেইন দিয়ে ররেজিস্টার করেন নি। এখন আজ দেখলাম অবাকপৃথিবী ডট কম করেছেন। বিডি তে কত টাকা লেগেছে? আর কি কি দরকার হয়েছে ডোমেইন কিনতে। জানাবেন ☺।
আর পোষ্ট টা দারুণ হয়েছে।
দুঃখিত ভুল জায়গায় কমেন্ট করে ফেলেছি।
excellent
thanks