মিঃ বিনের ছুটি কাটানো (Mr. Bean’s Holiday)

ফ্রেঞ্চ রিভেইরার বিখ্যাত শহর কান, এই সময়ে পৃথিবীর সমস্ত মিডিয়াকে আকর্ষণ করে, চলচিত্রের সেলিব্রেটিরা কি খায়, কি গায়ে মাখে, কি পোশাক পড়ে, কোথায় যায় – সবই জানার জন্যে মিডিয়ার লোকেরা উন্মুখ। কিন্তু, মিঃ বিন কিভাবে চলচিত্র উৎসবের সময় কান্-এ বেড়াতে যায়, কি খায়, ছুটি কাটায় তা জানতে হলে অবশ্যই Mr. Bean’s Holiday (2007) সিনেমাটি একবার দেখে নেওয়া উচিত – হাসি থামাতে অবশ্য কষ্টই হতে পারে।

ফরাসীদের প্রিয় সামুদ্রিক খাওয়া দাওয়া plateau de fruits de mer – যেখানে জ্যান্ত ওয়েস্টার, গেঁড়ি গুগলি, গরম নুন জলে চোবানো লবস্টার ইত্যাদি খাওয়া নিয়ে ব্রিটিশ, বা আমেরিকান সিনেমায় প্রচুর কৌতুক হয়েছে – এখানেও দেখা যায় মিঃ বিন কি ভাবে রেস্টুরেন্টে গিয়ে ফরাসী এক প্লেট সামুদ্রিক খাবার নিয়ে নাজেহাল হয়েছে। ভুক্তভুগীরা জানে ফরাসী রেস্টুরেন্টে ফরাসী মেনু দেখে খাবার অর্ডার দেওয়ার বিড়ম্বনা।

আসলে, ইউরোপে যেখানে সবকিছু এক নিয়ম মেনে চলে, সেখানে মিঃ বিনের মতো মানুষের কান্ড কারখানা হাসির খোরাকই বটে। নিতান্ত সাধারণ সাইকেল নিয়ে কিভাবে ফরাসী সাইকেল চালক যারা ‘টুর দে ফ্রান্স’এ অংশগ্রহণ করে, তাদেরও হারিয়ে দেওয়া যায় – তা মিঃ বিন ছাড়া ফ্রান্সে আর কেউই ভাবতে পারবে না। মিঃ বিনের আরও কতো কান্ড – মোটকথা মিঃ বিনের ফ্রেঞ্চ রিভেইরায় ছুটি কাটানো প্রচুর হাস্যরসে পূর্ণ।

এই সিনেমায় দক্ষিণ ফ্রান্সের বিখ্যাত Millau ব্রিজকে দেখা যায় – পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু এই সেতুটি ফ্রান্সেরও সবচেয়ে উঁচু স্থাপত্য – এই ব্রিজের উচ্চতা আইফেল টাওয়ারের চেয়েও বেশি। এই ব্রিজটি ফরাসী ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতার এক অভূতপূর্ব নমুনা হিসাবে বিখ্যাত।

যাইহোক, সিনেমাটি দেখে একটু নির্ভেজাল হাসি হাসতে হাসতে ছুটির সন্ধ্যা চমৎকার কেটে যায়। তাছাড়া, মিঃ বিনের সিনেমা দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ফ্রেঞ্চ রিভেইরা ঘোরার স্মৃতিও জাগ্রত হয়ে গেল।

অজানা's avatar

About abakprithibi

I see skies of blue and clouds of white, The bright blessed day, the dark sacred night And I think to myself what a wonderful world...........
This entry was posted in Movie time -:) and tagged , . Bookmark the permalink.

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান