গা ঘেঁষা ভিড়ের মধ্যে হাতে এক আঁজলা ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে – বাতাস ধূপের গন্ধে, নতুন কাপড়ের গন্ধে বিমোহিত, পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণে পরিবেশ গমগম , মায়ের মুখে মৃদু হাসির ছোঁয়া – আমার ছেলেবেলার শহরে পুজো – এবার আমি ফিরেছি – বহু, বহু বছর পরে – আমার স্মৃতির পুজোকে একটু ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছেয় ফিরেছি।
ভিড়ের ভেতর থেকে হঠাৎ কেউ এক নাম ডেকে উঠল – আরে অমুক না? কেমন আছো? কত্ত বছর পর দেখলাম বলো তো? ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখলাম – ছেলেবেলার চেনা মুখ – সময়ের পর্দায় ঢাকা পড়েছে, বয়সের রং লেগেছে চুলে, মুখে – তবুও চেনা।
নবমীর ভিড় ঠেলে ভোগের প্রসাদ পাওয়া – সবই যেন একই আছে – কিছুই বদলায় নি – শুধুই বদলে গেছি আমরা – চেঞ্জ ইজ দা অনলি কন্সটেন্ট।
ছেলেবেলার ডাক নামে ডাকার মানুষ গুলোও কেমন হারিয়ে যাচ্ছে – এই নামে বহু বহু বছর কেউই আমাকে ডাকে নি!
নিজের শহরের পুজো মানেই যেন স্মৃতির ঝাঁপি খুলে ধরে – টাইম মেশিনে চড়ে – ছেলেবেলার প্রতিটি গলি, প্রতিটি মোড়ে ঘুরে দেখা। নবমীর বিকেলে আজও এখানের বাতাসে ছেলেবেলার সেই মন কেমন করা উদাসীন নিস্তব্ধতা যেন থমকে আছে।