হোক না যতই বিশ্বায়ন, খোলা বাজার, সুপার মার্কেট, অনলাইন শপিং, ব্রেন্ডেড জিনিসের দিন। তবুও এখানের মানুষের দেখেছি স্থানীয় ছোট ছোট নন ব্রেন্ডেড জিনিসের প্রতি খুব আকর্ষণ। পুরনো বা নতুন বইয়ের সোঁদা গন্ধে, কিংবা কোন এক পুরনো ছবির রঙের পোঁচে ডুবে যেতে তুলুসের মানুষের মনে হয় খুব ভালো লাগে। এখানে মানুষের কাছে যেন অবাধ সময়। আমাদের মতো সময়ের আগে আগে অহেতুক দৌড়নোর চেষ্টা দেখি না। এক ধীর স্থির শান্তি বিরাজমান এই শহরের প্রানে, ছন্দে।
বুধবার এখানে বাচ্চাদের ও চাকুরিরতা মায়েদের ছুটি থাকে, আবার অনেকের বুধবার এমনিতেই ছুটি থাকে আর সেই ছুটির দিনে তুলুসের জায়গায় জায়গায় সারাদিনের হাট বসে। শীতের দিন যদি উজ্জ্বল হয়, ইউরোপিয়ান হাটের এই শান্ত বেচা কেনা, লেনদেন এক সুন্দর নিশিন্তির ছবি তুলে ধরে।
তুলুসের প্রধান কেন্দ্র যাকে ঘিরে তুলুসের সব কিছু – সেই ক্যাপিট্যাল চত্বরে নানান জিনিসের এক হাট তুলুস আগত অনেক মানুষের এক আকর্ষণ। অনেকেই সেদিন এই হাটের নানা চেনা অচেনা জিনিস দেখে বেড়ায়, জানি না কতটা সেই জিনিসের দরকার বা কতটা কেনে। আফ্রিকান মুখোশ, ছবি থেকে শুরু করে মরোক্কান নক্সা কাঁটা মাটির বাসন, ভারতবর্ষের শাড়ি, টুপি, ব্যাগ, জুতো সবই দেখি নিজের জায়গা করে নিয়েছে এই হাটে।
জিনিস দেখতে দেখতে অনেকেই অনেক অহেতুক জিনিস কিনে ঘরে ফেরে। কেনা কাটি বোধহয় মানুষের এক মৌলিক প্রবৃত্তি। প্রাণচঞ্চল হাটে কেনা কাটি করলে মন বেশ ভালো হয়, অধিকারবোধের এক আত্ম সন্তুষ্টি হয়। আর সেই কারনেই বোধহয় ইউরোপে উদার আকাশের নীচে হাট সংস্কৃতি এখনো বজায় আছে।